আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা নাদিয়া বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দূনীর্তির অভিযােগ পাওয়া গেছে। কাঁঠালকান্দি গ্রামের বীর মুক্তিযােদ্ধা মৃত আবু শ্যামা মিয়ার ছেলে মােঃ আলামিন মিয়া গত ১৮ নভেম্বর তারিখে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর এক লিখিত অফিযােগ দাখিল করেছে।
অভিযােগের অনুলিপি মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ্য রয়েছে।
অভিযােগে জানা গেছে, উক্ত পরিদর্শিকা গর্ভবতী নারীদের ভাতার কার্ড দিতে জনপ্রতি ২শত টাকা করে নিচ্ছে, তাছাড়া ও অফিস চলাকালিন রােগিদের কাছ থেকে ভিজিট বাবদ ৫০ থেকে ১শত টাকা, ঔষধ ও গর্ভবতী নারীদের চেকআপ করতে ২শত টাকা প্রসবের সময় প্যারিনিয়াম বা সেলাই কাটতে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা, প্রতি শুক্রবার কচুয়া গ্রামে প্রাইভেট চেম্বারে বসে ২শত টাকা ভিজিট নিয় রাগী দখ সরকারি ঔষধ বিতরণ করছন। অবৈধ ইমপ্লােন বর করে দিয়ে ২শত টাকা থেকে ৩শত টাকা করে নিচ্ছে। অনেক ভূক্তভােগীর সাথে কথা বললে তারা ওই পরিবার পরিদর্শিকা নাদিয়া বেগমের এ সমস্ত অভিযােগের সত্যতা স্বীকার করেন।
অভিযােগের বিষয়ে টি.এফ.ও মােঃ আকিব উদ্দিনের সাথে মােবাইল ফােনে যােগাযােগ করে জানতে চাইলে তিনি অভিযােগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা অভিযােগ পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন বলেও আমাদের কে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চাতলপাড় ইউ.পি চেয়ারম্যান শেখ মােঃ আব্দুল আহাদের সাথে মােবাইল ফােনে যােগাযােগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই কমিটির সভাপতি। পূর্বে নাদিরা ও তাদের বিরুদ্ধে আমার বরাবর লিখিত অভিযােগ করেছিল। তারা ও কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযােগ করেছে আমি উভয় পক্ষকে পাল্টা/পাল্টি অভিযােগ না করে মনােযােগ দিয়ে কাজ করার কথা বলেছি। বাকিটা কর্তৃপক্ষ দেখবে। এ বিষয় পরিদর্শিকা নাদিরা বেগমের সাথে যােগাযােগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযােগ মিথ্যা বলে দাবী করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply